November 21, 2024, 6:29 am
রাহিমা আক্তার মুক্তা :মিরপুর বিআরটিএ ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, প্রতিটি কাজে কমিশন বাণিজ্য, প্রতিটি সার্কেলে সহকারি পরিচালক ও পরিদর্শকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা মাসোয়ারা সহ মিরপুর বি আর টি এর রোড পারমিট শাখায় দালাল সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এই পরিচালক শহীদুল্লাহ।অনুসন্ধানে জানা গেছে , মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দীর্ঘদিন যাবত ঢাকার বিভাগীয় পরিচালকের দায়িত্বরত আছেন । সরকারিভাবে তাহার বেতন ৬৫ হাজার ৪৬২ টাকা যাহার ২০২০ -২০২১ অর্থবছরের।যাহার ডকুমেন্ট রয়েছে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী টিমের কাছে।বিআরটিএ ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বর্তমানে মিরপুর বিআরটিএ অফিসে কর্মরত আছেন। মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর বাবার নাম মোহাম্মদ আলী মিয়া। মাতার নাম শরিফা বেগম।মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বর্তমানে যে বাসায় থাকেন। সেলটেক চন্দ্রমল্লিকা বাড়ি নং ১৩/এ/১ ব্লক-বি বাবর রোড,ঢাকা। শহীদুল্লাহ বিআরটিএ দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ঘুষ বাণিজ্যের সাথে দিন -দিন ব্যাপক অনিয়ম করে আসছে।তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিটি সার্কেলে কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিয়ে থাকে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে । কেউ উৎকোচ দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি দিয়ে থাকে। এমনকি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কর্মকর্তাও কর্মচারীদেরকে বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে তাকে বদলি করা হয় । এখানেই সে থেমে থাকেনি, তার রয়েছে বদলি বানিজ্য বিভিন্ন বড় -বড় গাড়ির কাজের মোটা অঙ্কের কমিশন বানিজ্য। এই মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ এক মাত্র ব্যক্তি যে ঢাকার বিভাগীয় সার্কেলটাকে তৈরী করেছে ঘুষের নৈরাজ্য। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে, তিনি সঠিক সময়ে অফিসে আসেন না । অফিসে আসলেও মিটিং এর দোহাই দিয়ে তার ব্যক্তিগত কাজে চলে যান বলে মিরপুর বিআরটিএ একটি সূত্রে জানা গেছে ।আমরা বেনজির আহম্মেদ সম্বন্ধে জানি, মতিউর রহমান সম্বন্ধে জানি। তাদের থেকে কোন আংশে কম নয় এই পরিচালক শহিদুল্লাহ। দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্য করে গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়। ঢাকায় ও গাজীপুরে তার আলীশান বাড়ি রয়েছে উল্লেখ করেনি ইনকাম ট্যাক্সে। কারন একটাই ফাস হয়ে যাবে গোপন ঘুষের রহস্য। বর্তমানে ঢাকার বাড়ি নং- ১২/ঠ/৭ রোড নং- ০২ শ্যামলীতে রয়েছে আলীশ্বান বাড়ি।গাজীপুরের জয়দেবপুরে ও বাড়ি নং ৪১ চন্দনা জয়দেবপুরে আরো একটি আলীশান বাড়ি রয়েছে এই পরিচালক শহিদুল্লাহর।বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চয় পত্র রয়েছে কোটি টাকার উপড়ে। নামে বেনামে রয়েছে সম্পদের পাহাড়। গ্রামের বাড়ি নরসিংদী রয়েছে ২০ বিঘার মতো সম্পত্তি। মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর স্ত্রীর নামে রয়েছে আলীশান বাড়ি ও গাড়ি।ঘুষ বানিজ্যের ফলে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর স্ত্রী প্রতিমাসে বিদেশ চলে যায় শপিং করার জন্য। বাংলাদেশের সম্পদ কে ধংস করার জন্য, বেনজির, মতিউর, শহিদুল্লাহ যথেষ্ট। সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের সামনে এইসব দুর্নীতি করে গেলেও তারা অসহায় কিছুই বলতে পারছেন না। সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আমলে নিবেন। তার এসব অপকর্মের দেখার কেউ নেই!দূদক, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে তদন্ত করলে তার মুখোশ উন্মোচন হয়ে যাবে।
Leave a Reply