November 21, 2024, 9:26 am
ফাতেমা আক্তারঃ কুমিল্লা দাউদকান্দির সাংবাদিক সালমা আক্তারের বক্তব্যে এমনটাই প্রমাণিত হয়
মামলার সূত্রে জানা যায় কুমিল্লার দাউদকান্দিতে হত্যা চেষ্টা ও ধর্ষণ অপচেষ্টা মামলা করেন সাংবাদিক সালমা আক্তার। তার মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাংবাদিক সালমা আক্তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দাউদকান্দি থানায় একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন সাংবাদিক সালমা আক্তারের দায়েরকৃত মামলার আসামী শাহানাজ আক্তার সুমনা। হত্যা চেষ্টা ও ধর্ষণ অপচেষ্টার ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ভিক্টিম সালমাকে উদ্ধার করেন তবুও পুলিশের আচরণ ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে দাউদকান্দি উপজেলার ঈদগাঁহ বিশ্বরোড আক্তার ফার্ণিচারের সামনের রাস্তার উত্তর পার্শ্বে নির্জণ জায়গায়। সাংবাদিক সালমা আক্তারের দাবি গত ৫ই আগস্ট দাউদকান্দি উপজেলার বিশ্বরোডে ভাড়াটে সন্ত্রাস জাকির হোসেনের ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরপুর হক কমিশনারের নাতী আসামি মোঃ সামি অস্ত্র উঠিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর গুলি চালানোর সময় আমি মোবাইলে ছবি ধারণ করি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাকির হোসেনের স্ত্রী ও নুরপুর হক কমিশনারের মেয়ে সুমনা আক্তার তার বাহিনী নিয়েএক এক করে তিন বার আমার বাসায় ভাঙচুর সহ হামলা চালায়। এই ঘটনায় গত ২২-০৮-২০২৪ কুমিল্লা আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয় যাহার মামলা নং- ৩৭/২৪। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।তদন্তকারী কর্মকর্তা দাউদকান্দি মডেল থানার এস আই হাবিবুর রহমান। সালমা আরো বলেন পরবর্তীতে দুইবার আমার উপর রাস্তায় হামলা চালায় ও অপহরণের চেষ্টা চালিয়ে আমার নিকট থেকে বাড়ির জন্য রড কেনার নগদ ৯০ হাজার টাকা,একটি স্মার্ট ফোন ও ব্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় আসামিরা। এ ব্যাপারে দাউদকান্দি মডেল থানায় ভিকটিম আমি বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে গত ১১-১০-২৪ইং তারিখে মামলা দায়ের করি, যাহার মামলা নং- ২৭০/২৪। আমি দাউদকান্দি থানার সামনে শহীদ রিফাত শিশু পার্কে একটি সাংবাদ সম্মেলন করি। সাংবাদিক সম্মেলনের প্রেস রিলিজটি কিছু জাতীয় পত্রিকা ও কুমিল্লার স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।সংবাদ সম্মেলনের খবরটি পুলিশের নজরে আসলে ১৯/১০/২৪ইং তারিখ ১নং আসামী সুমনাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে এবং মামলার বাকী আসামী আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে। জামিনে বের হয়ে আসামীরা আবার সন্ত্রাসী কায়দায় আমাকে দাউদকান্দি বলদা খাল থেকে অপহরণ করে গৌরিপুর রাবেয়া পাম্পের পাশে হাত,পা, মুখ, বেধে মারধরসহ ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় আমাকে বিবস্ত্র অবস্থায় থাকলে স্থানীয় লোকজনের সহয়তায় পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।কিন্তু দুঃখের বিষয় পুলিশ চিকিৎসার ব্যবস্থা ও আইনগত সেবা না দিয়ে আমাকে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দেয় তাহারা আমাকে বাড়িতে পৌছে দেন। পরবর্তীতে এই ঘটনার কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনাকে নাটক বলে আখ্যায়িত করে দাউদকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ জুনায়েদ। পরে বাধ্য হয়ে আমি কুমিল্লা আদালতে গত ২১-১০-২৪ ইং তারিখে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করি। মামলা নং সিপি-৪৫৫/২৪, ধারা- ৭/৯(৪)(খ)/১০/৩০,পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি এফ.আই.আর করে আইনানের ব্যবস্থা নিতে দাউদকান্দি থানা কে নির্দেশ প্রদান করেন।সাংবাদিক সালমা আক্তারের দাবি দাউদকান্দি থানার ওসি জুনায়েদ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আদেশ অমান্য করে উল্টো আমার মামলার আসামী শাহানাজ আক্তার সুমনাকে মামলার বাদী করে আমি সহ বাবা ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যে ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলা এফআইআর করেন।এ ব্যাপারে কাউন্টার মামলার বাদী সুমনাকে একাধিকবার ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি। এবং ভুক্তভোগী সাংবাদিক সালমা আক্তারের পত্রিকার সম্পাদক জনাব হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাউদকান্দি থানার ওসিকে আমি একাধিকবার ফোন দিয়েছি তিনি আশ্বস্ত করেছেন সালমাকে আইনগত সহায়তা করবেন।কিন্তু পরবর্তীতে একই থানায় কাউন্টার মামলাটা হওয়া বিষয়টা আমার কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। দাউদকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখব।দাউদকান্দি যুবদল থানার সভাপতি নূর মোহাম্মদ সেলিম,শাহাবুদ্দিন, কাউসার, কয়েকজন সাংবাদিকসহ বৈষ্যম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলনের সমন্বয়করা ,ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন বলেন, সাংবাদিক সালমা আক্তারের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি করার বিষটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।বিভিন্ন পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিকদের মন্তব্য এভাবে যদি প্রতিহিংসা মূলক সংবাদ প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা হয় ধীরে ধীরে মানুষের সাংবাদিক পেশার প্রতি অনিহা চলে আসবে।
Leave a Reply